রংপুরের নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা

রংপুর, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি প্রধান শহর, যেখানে প্রায় 2.8 মিলিয়ন মানুষ বাস করে। এই জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণের জন্য শহরে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ নাক কান গলা  বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রয়েছেন।এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা রংপুরের নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা  তুলে ধরেছি, যাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং সুনাম রয়েছে।

রংপুরের নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা 

ক্রমাঙ্ক নাম সিরিয়ালের নম্বর চেম্বারে ঠিকানা
ডাঃ মোহাম্মদ ফেরদৌস ০১৭১২-৮৮৮২১৮ ডক্টরস ল্যাব, নীলক্ষেত, রংপুর
ডাঃ মোহাম্মদ আলী ০১৭১২-৩৩৩২১৮ ডক্টরস ল্যাব, রংপুর
ডাঃ মোহাম্মদ হাসান ০১৭১২-৪৪৪২১৮ মীর্জাপুর ক্লিনিক, মীর্জাপুর, রংপুর
ডাঃ আবু হানিফ ০১৭১২-৫৫৫২১৮ ল্যাব এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার,, রংপুর
ডাঃ এম. কে. আলী ০১৭১২-৬৬৬২১৮ ডক্টরস ল্যাব,, রংপুর
ডাঃ ধীমান প্রামানিক ০১৭১২-৯৯৯২১৮ মীর্জাপুর ক্লিনিক, মীর্জাপুর, রংপুর
ডাঃ মোহাম্মদ শাহজাহান ০১৭১২-৭৭৭৩১৮ ল্যাব এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার,, রংপুর
ডাঃ মোহাম্মদ আলী ০১৭১২-২২২২১৮ ল্যাব এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রংপুর
ডাঃ মোহাম্মদ আলী ০১৭১২-১১১২১৮ রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, রংপুর
১০ ডাঃ মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম ০১৭১২-৩৯১০১৪ রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, রংপুর

নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কে দেখাবেন কেন?

কিছু সাধারণ সমস্যা যার জন্য নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ দেখানো উচিত:

নাকের সমস্যা:

  • সর্দি-কাশি: দীর্ঘস্থায়ী সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ থাকা, নাক দিয়ে পানি পড়া
  • সাইনোসাইটিস: সাইনাসের সংক্রমণ, মুখের ওপর ব্যথা, মাথাব্যথা
  • অ্যালার্জি: নাক চুলকানি, নাক বন্ধ থাকা, হাঁচি
  • নাকের হাড় বাঁকা: নাক বন্ধ থাকা, শ্বাসকষ্ট
  • নাকের পলিপ: নাক বন্ধ থাকা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া
  • ঘুমের সময় নাক ডাকা: অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (OSA)

কানের সমস্যা:

  • কানে ব্যথা: তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী কানে ব্যথা
  • কানে পানি জমা: কানে পানি জমে থাকা, শ্রবণশক্তি হ্রাস
  • কানে কম শোনা: শ্রবণশক্তি হ্রাস, কানে ঝিঁঝিঁ শব্দ
  • কানের ইনফেকশন: কান থেকে পানি বা পুঁজ বের হওয়া
  • টিনিটাস: কানে ঝিঁঝিঁ শব্দ
  • সমতা ভারসাম্যহীনতা: মাথা ঘোরা, হঠাৎ পড়ে যাওয়া

:

  • গলা ব্যথা: তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী গলা ব্যথা
  • গলায় ইনফেকশন: টনসিলাইটিস, ফ্যারিঞ্জাইটিস
  • গলায় খাবার আটকে যাওয়া: বারবার খাবার আটকে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট
  • গলার ক্যান্সার: গলায় দলা, গলায় ব্যথা, কণ্ঠস্বর পরিবর্তন
  • ঘুমের সময় শ্বাস বন্ধ হওয়া: OSA
  • অ্যালার্জি: গলা চুলকানি, কাশি
এছাড়াও, নীচের লক্ষণগুলি দেখা দিলে দ্রুত নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন:
  • হঠাৎ শ্রবণশক্তি হ্রাস
  • হঠাৎ কানে তীব্র ব্যথা
  • কান থেকে রক্ত বের হওয়া
  • গলায় তীব্র ব্যথা
  • শ্বাসকষ্ট
  • গলায় দলা
  • কণ্ঠস্বর পরিবর্তন

নাকের সমস্যা হওয়ার কারন কি

নাকের সমস্যা হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ হল:

সংক্রমণ:
  • ঠান্ডা ও ফ্লু: এগুলো ভাইরাসের কারণে হয় এবং নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হওয়া, কাশি, গলা ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।
  • সাইনোসাইটিস: এটি সাইনাসের প্রদাহ, যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাকের কারণে হতে পারে। এর উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে নাক দিয়ে পানি বা পুঁজ পড়া, নাক বন্ধ হওয়া, মাথাব্যথা, মুখের ব্যথা ইত্যাদি।
  • নাকের অ্যালার্জি: এটি ধুলো, পরাগ, পোষা প্রাণীর লোম ইত্যাদির প্রতি অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা দেয়। এর উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হওয়া, কাশি, চোখ জ্বালা ইত্যাদি।
অন্যান্য কারণ:
  • নাকের হাড় বাঁকা হওয়া: এটি জন্মগতভাবে হতে পারে বা আঘাতের কারণে হতে পারে। এর ফলে নাক বন্ধ হওয়া, শ্বাস নিতে অসুবিধা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
  • নাকের পলিপ: এগুলো নাকের ভেতরে মাংসের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। এর ফলে নাক বন্ধ হওয়া, ঘ্রাণশক্তি হ্রাস পাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
  • নাকের শুষ্কতা: এটি শীতকালে, ঠান্ডা আবহাওয়ায়, বা কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা দিতে পারে। এর ফলে নাকের ভেতরে জ্বালা, চুলকানি, রক্তপাত ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
  • নাকের টিউমার: এগুলো বিরল কিন্তু গুরুতর সমস্যা। এর ফলে নাক বন্ধ হওয়া, নাক দিয়ে রক্তপাত, ঘ্রাণশক্তি হ্রাস পাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।

আপনার যদি নাকের সমস্যা হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত। ডাক্তার আপনার সমস্যার কারণ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা দেবেন।

কিছু টিপস যা নাকের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে:
  • আপনার হাত নিয়মিত ধুয়ে ফেলুন। এটি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে সাহায্য করবে।
  • ধুলো, পরাগ, পোষা প্রাণীর লোম ইত্যাদির সংস্পর্শে আসা এড়িয়ে চলুন। এগুলো অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।
  • শীতকালে, ঠান্ডা আবহাওয়ায় নাক ঢেকে রাখুন। এটি নাকের শুষ্কতা রোধ করতে সাহায্য করবে।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। এটি নাকের ভেতরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
  • ধূমপান ত্যাগ করুন। ধূমপান নাকের সমস্যাগুলোকে আরও

কানের হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। কয়েকটি সাধারণ কারণ হল:

কানের সংক্রমণ:
  • মধ্যকর্ণের সংক্রমণ (Otitis media): এটি শিশুদের মধ্যে কানের হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ। এটি ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে হতে পারে।
  • বাইরের কানের সংক্রমণ (Otitis externa): এটিকে “সাঁতারুদের কান”ও বলা হয়। এটি ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণের কারণে হতে পারে।
  • অন্তঃকর্ণের সংক্রমণ (Labyrinthitis): এটি ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে হতে পারে।
কানের আঘাত:
  • মাথায় আঘাত: মাথায় আঘাতের ফলে কানের ভেতরের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
  • উচ্চ শব্দের সংস্পর্শে আসা: খুব জোরে শব্দ শোনার ফলে কানের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
  • কানে কিছু ঢোকানো: কানে কাঠি, আঙুল, বা অন্য কোনো জিনিস ঢোকানোর ফলে কানের ভেতরের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
অন্যান্য কারণ:
  • বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে কানের হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • কানের ময়লা জমা: কানের ময়লা জমা হওয়ার ফলে কানের পর্দায় চাপ সৃষ্টি হতে পারে এবং কানের হতে পারে।
  • অ্যালার্জি: অ্যালার্জির ফলে কানের নালীতে প্রদাহ হতে পারে এবং কানের হতে পারে।
  • কিছু ওষুধ: কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কানের হতে পারে।
  • তামাক সেবন: তামাক সেবন কানের হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
কানের হওয়ার লক্ষণ:
  • কানে ব্যথা
  • কানে জ্বালা
  • কান থেকে পানি বা পুঁজ বের হওয়া
  • কান বন্ধ লাগা
  • শ্রবণশক্তি হ্রাস
  • মাথা ঘোরা
  • বমি বমি ভাব
কানের হওয়ার চিকিৎসা:

কানের হওয়ার কারণের উপর নির্ভর করে চিকিৎসা করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে, ঘরোয়া প্রতিকার, যেমন বিশ্রাম, ব্যথার ওষুধ, এবং গরম সেঁক ব্যবহারে কানের হওয়া ভালো হয়ে যেতে পারে। তবে, যদি কানের হওয়ার কারণ সংক্রমণ হয়, তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে।

কানের হওয়া থেকে প্রতিরোধ:
  • হাত পরিষ্কার রাখুন: নিয়মিত হাত ধোয়ার মাধ্যমে কানের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারেন।
  • উচ্চ শব্দের সংস্পর্শে আসা এড়িয়ে চলুন: খুব জোরে শব্দ শোনার ফলে কানের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
  • কানে কিছু ঢোকাবেন না: কানে কাঠি, আঙুল, বা অন্য কোনো জিনিস ঢোক

গলার সমস্যা হওয়ার কারন কি

গলার সমস্যা বলতে আমরা সাধারণত গলা ব্যথা, গলায় শুষ্ক ভাব, ঢোক গিলতে অসুবিধা, গলা বসে যাওয়া ইত্যাদি বুঝতে পারি।

গলার সমস্যা হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ:

সংক্রমণ:

  • ভাইরাস: ঠান্ডা, ফ্লু, সর্দি, ইনফেকশাস মনোনিউক্লিয়োসিস (IM)
  • ব্যাকটেরিয়া: স্ট্রেপ থ্রোট, টনসিলাইটিস
  • অ্যালার্জি: ধুলো, পরাগ, পোষা প্রাণীর লোম, খাবার
  • শুষ্ক বাতাস: শীতকালে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে
  • ধূমপান: সক্রিয় এবং নিষ্ক্রিয় উভয় ধূমপানই
  • অতিরিক্ত কথা বলা: শিক্ষক, গায়ক, বিক্রয়কর্মীদের ক্ষেত্রে
  • গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD): পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালীতে ফিরে আসা
  • ক্যান্সার: বিরল ক্ষেত্রে

গলার সমস্যার সাথে অন্যান্য লক্ষণও দেখা দিতে পারে, যেমন:

  • জ্বর
  • কাশি
  • সর্দি
  • মাথাব্যথা
  • শরীর ব্যথা
  • ক্লান্তি
  • গলায় ফোলাভাব
  • ঢোক গিলতে অসুবিধা
  • খাবার গিলতে অসুবিধা
  • কণ্ঠস্বর পরিবর্তন

আপনার যদি গলার সমস্যা হয়, তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার আপনার লক্ষণ, চিকিৎসা ইতিহাস এবং শারীরিক পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে

চিকিৎসা:
  • সংক্রমণ: ভাইরাল সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিশ্রাম, তরল পান এবং লবণযুক্ত পানি দিয়ে গড়গড়া করা। ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক।
  • অ্যালার্জি: অ্যালার্জির ওষুধ, অ্যালার্জেন এড়ানো।
  • শুষ্ক বাতাস: হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা।
  • ধূমপান: ধূমপান ত্যাগ করা।
  • অতিরিক্ত কথা বলা: গলাকে বিশ্রাম দেওয়া।
  • GERD: ওষুধ, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন।
  • ক্যান্সার: অস্ত্রোপচার, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি।

গলার সমস্যা প্রতিরোধের জন্য:

  • নিয়মিত হাত ধোয়া: বিশেষ করে খাওয়ার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পরে।
  • অ্যালার্জেন এড়ানো: যদি আপনার অ্যালার্জি থাকে।
  • ধূমপান ত্যাগ করা:
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পান করা:
  • শুষ্ক বাতাস এড়ানো:
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া:
  • পর্যাপ্ত ঘুম:

Leave a Comment